নারীদের যৌন শীতলতার কারণ কি?




বিয়ের কিছুকাল পর অনেক স্বামীদেরই অভিযোগ করতে দেখা যায় যে, তাদের স্ত্রী যৌনতার ক্ষেত্রে শীতল আচরণ করেন। এমনিতে খুবই ভালো স্ত্রী ও প্রেমিকা, কিন্তু যৌনতার প্রশ্ন এলেই গুটিয়ে যান। শারীরিক কোন সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও বিছানায় শীতল আচরণ করেন, অনীহা দেখান বা যথেষ্ট সক্রিয় নন। ফলে দাম্পত্যে অশান্তি অবধারিত ভাবেই হচ্ছে। অনেক নারী নিজেও বোঝেন নিজের এই সমস্যাটা, কিন্তু কাকে বলবেন বা কী করবেন, সেটা ঠিক বুঝে উঠতে পারেন না। আমাদের এই ফিচার সেইসব নারীদের জন্য, যারা শারীরিক ভাবে সুস্থ হওয়া সত্ত্বেও শীতল যৌন আচরণ করে থাকেন।

বয়সের পার্থক্য ব্যবধান তৈরি করে :- আপনার স্ত্রীর বয়স যদি অনেক কম হয়ে থাকে কিংবা আপনার সাথে বয়সের পার্থক্যটা বেশী হয়ে থাকে, তবেও তিনি যৌনতায় শীতল আচরণ করতে পারেন আর এটাই স্বাভাবিক। আমাদের দেশে বহু মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেয়া হয় কিশোরী বেলায় কিংবা সদ্য তারুণ্যে, যখন হয়তো যৌনতা সম্পর্কে তার কোন ধারণাই জন্মায়নি ভালভাবে। এক্ষেত্রেও সর্ব প্রথম পরামর্শ হচ্ছে তাঁকে জোর করবেন না, অযথা রাগ দেখাবেন না। এতে যৌনতা বিষয়টি তার কাছে অনেক বেশী ভীতিকর হয়ে দাঁড়াবে। ধৈর্য ধরুন। স্ত্রীকে ভালবাসুন, তার সাথে প্রেম করুন। এক পর্যায়ে যখন তিনি নিজেই আগ্রহী হবেন আপনাকে কাছে পেতে, তখন যান।
তিনি একটু বেশী লজ্জা পান :- লজ্জা নারীর ভূষণ, এমন হতেই পারে যে তিনি একটু বেশী লজ্জা পান যৌন সম্পর্কে খোলামেলা হতে। মনে রাখবেন, আমাদের দেশের মেয়েরা পশ্চিমা দেশের মেয়েদের মত নন। বেশিরভাগ সাধারণ মেয়েরই বিয়ের আগে যৌনতা সম্পর্কে কোন ধারণা থাকে না আমাদের দেশে। এছাড়া পশ্চিমা মেয়েদের মত আমাদের দেশের মেয়েরা অনেক কিছুই করতে পারেন না যৌনতার ক্ষেত্রে, এবং বিষয়টা কেবলই স্বভাব সুলভ লজ্জার কারণে। এক্ষেত্রে স্বামী হিসাবে তাঁকে চাপ দেবেন না। আপনি যা চান সেটা করার জন্য পীড়াপীড়ি করবেন না। বরং তার অনেক প্রশংসা করুন বিশেষ মুহূর্তে। আস্তে আস্তে তার লজ্জা কেটে যাবে।

তিনি ভালোবাসার অভাব অনুভব করেন :- যৌনতায় নারীর সক্রিয় হয়ে ওঠার পেছনে একটি বড় ভূমিকা রাখে ভালোবাসা। তিনি আপনাকে যত বেশী ভালবাসবেন এবং আপনি যত বেশী ভালোবাসা ও আদর দেখাবেন, স্ত্রী ততটাই সক্রিয় হয়ে উঠবেন যৌনতার ক্ষেত্রে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক কেবল যৌনতার নয়, ভালোবাসার। দুজনের মাঝে মানসিক ভালোবাসার একটি মজবুত সেতু রচনা করুন। দেখবেন যৌনতা এমনিতেই উচ্ছল হয়ে উঠেছে। মানসিক প্রেম যৌনতায় খোলামেলা ও প্রাণবন্ত হতে সহায়ক।
অতীতের কোন কাহিনী :– নারী হয়ে জন্মালে ছেলেবেলায় যৌন হয়রানির সম্মুখীন হওয়া খুবই স্বাভাবিক। এবং এই কারণেও অনেক নারীর যৌনতার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে যায় ও একরকম ভীতির জন্ম নেয় মনে যৌনতা ও পুরুষ সম্পর্কে। এক্ষেত্রে আপনিই একমাত্র পারেন ভালোবাসা দিয়ে এই ভীতি দূর করতে। আপনার ভালোবাসায় আপনার প্রতি আস্থা জন্মাবে তার এবং অতীতের স্মৃতি মুছে যাবে।

ক্লান্তি, সন্তান, মানসিক চাপ ইত্যাদি :– আপনি হয়তো ভাবছেন- “দিন শেষে বাসায় এসেছি, ও কেন সঙ্গ দেবে না আমাকে?” এই ভাবনার মাঝে আপনি ভুলে যাচ্ছেন যে সারাটা দিন আপনার স্ত্রীও মারাত্মক পরিশ্রম করে এসেছেন। হতে পারেন তিনি একটু বেশী ক্লান্ত হয়ে গেছেন বলেই যৌনতা নিয়ে বিশেষ আগ্রহী হয়ে উঠতে পারেন না। সংসার, সন্তান, শ্বশুরবাড়ি, হয়তো নিজের কোন ব্যক্তিগত কষ্ট বা অফিসের স্ট্রেস- কতকিছুই থাকতে পারে একজন মানুষের জীবনে। আর ক্লান্ত দেহে মনের মাঝে অনেক ভাবনা নিয়ে আসলেই যৌনতায় মেতে ওঠা যায় না। অন্তত নারীরা তো পারেনই না। এক্ষেত্রে দুজনে কোথাও বেড়িয়ে আসুন, সমস্যা মিটে গেলেও যেতে পারে। যৌন জীবনে নতুন মাত্রা যোগ হতে পারে একান্তে ছুটি কাটাবার সুযোগ হলে।

নিজেকে নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন :– ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেকে যৌনতায় সক্রিয় হন না, কারণ একটাই আর তা হলো নিজের ওপরে আস্থার অভাব। নিজেকে যথেষ্ট আকর্ষণীয় মনে না করা, কিংবা স্বামী হাসবেন কিনা ইত্যাদি ভেবে নিজেকে গুটিয়ে রাখেন। এক্ষেত্রে আপনি তাঁকে জড়তা কাটাতে সাহায্য করুন, বিশেষ মুহূর্তে পরার জন্য আকর্ষণীয় পোশাক কিনে দিন আর মাঝে মাঝেই জানান যে কী করলে তাঁকে আরও ভালো লাগবে এবং আপনাদের সম্পর্ক আরও সুন্দর হয়ে উঠবে। দেখবেন দ্বিধা কেটে যাবে সহসাই।
যৌনতা সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণার অভাব :– অনেক নারীই যৌনতা সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণার অভাবে বুঝে উঠতে পারেন না আসলে কী করা উচিৎ আর কীভাবে। অনেকেই ভাবেন যৌনতার ক্ষেত্রে বেশী সক্রিয় হলে স্বামী তাঁকে বেহায়া বা নির্লজ্জ ভাববেন। স্ত্রীর এইসব ভুল ধারণা দূর করুন আপনি নিজেই। তাঁকে পর্যাপ্ত যৌন শিক্ষা দিতে পারেন। নিজে মুখে বলতে সংকোচ বোধ করলে নানান রকম বইপত্র ও ম্যাগাজিন কিনে দিতে পারেন। আপনি যা জানেন, স্ত্রী সেটা জানলে আপনাকে তার বুঝতে সুবিধা হবে।

ছেলেদের যেসব জিনিসকে গোপনে ভালবাসে মেয়েরা!


ছেলেদের যেসব জিনিসকে গোপনে ভালবাসে মেয়েরা!


পুরুষদের ঠিক কোন জিনিসগুলি আকৃষ্ট করে মেয়েদের? নিজের প্রেমিক বা স্বামীর ব্যক্তিত্বের কোন দিকটি তাঁদের সবথেকে বেশি পছন্দ? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কঠিন, কারণ এক এক জনের পছন্দ এক এক রকম। কিন্তু সম্প্রতি লাইস্টাইল ইভেন্ট গ্রুপ ফেমিয়ানা-র দ্বারা পরিচালিত একটি সমীক্ষার ফলাফলে উঠে এসেছে একটি অদ্ভুত তথ্য। সমীক্ষাটির লক্ষ্য ছিল, পুরুষদের প্রতি মেয়েদের আকর্ষণের কয়েকটি গোপন কেন্দ্রবিন্দুকে আবিষ্কার করা, অর্থাৎ এমন কয়েকটি বিষয়—পুরুষদের ব্যক্তিত্বের যে দিকগুলি অপছন্দ করার ভান করেন মেয়েরা, কিন্তু মনে মনে আসলে সেগুলি পছন্দই করেন। ৬৭২৯ জন মহিলাকে প্রশ্ন করার পর সমীক্ষার ফলাফল স্বরূপ সংস্থাটি প্রকাশ করেছে মেয়েদের এমন ২০টি ‘গোপন’ ভাললাগার কথা। এখানে রইল সেই তালিকার প্রথম ৬টি বিষয়—

১. ‘‌ও তো কোনও বিষয়ে আমার পরামর্শই চায় না’: স্বামী বা প্রেমিক সম্পর্কে চিরচেনা অভিযোগ। কিন্তু আদপে অন্য কারোর পরামর্শ ছাড়াই সিদ্ধান্ত নেওয়ার উপযুক্ত মানসিক দৃঢ়তা একজন পুরুষের মধ্যে মেয়েরা পছন্দই করেন।

২. ‘আমি যখন কথা বলব, তুমি চুপ করে থাকবে’: প্রেমিক বা স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার সময়ে মেয়েরা অনেকেই রেগে গিয়ে এই কথা বলেন। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, তিনি সত্যিই চাইছেন তাঁর সঙ্গীটি মুখ বুজে থাকুক। বরং তর্ক, এবং যুক্তির বিপক্ষে প্রতিযুক্তিই যে কোনও সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে কার্যকর উপায় তা জানেন যে কোনও বুদ্ধিমতী। কাজেই সঙ্গীর তর্কশীলতাকে মনে মনে তাঁরা পছন্দই করেন।
৩. ‘ওর তো সাত চড়ে রা নেই’: হ্যাঁ, তর্ক করা ভাল, কিন্তু তা বলে রক্তচক্ষু হয়ে চেঁচিয়ে বাড়ি মাথায় করা মোটেই কাজের কথা নয়। অনেক পুরুষ ভাবেন, তর্জন-গর্জনেই বুঝি পৌরুষের প্রকাশ, ওটাই বুঝি পছন্দ করেন মেয়েরা। একেবারে ভুল। বরং ঝগড়ার মুহূর্তেও, সঙ্গিনীর কুবাক্য শুনেও মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেন যিনি, তিনিই আকর্ষণীয় পুরুষ। আপনার এই শীতলতা নিয়ে আপনার সঙ্গিনী কখনও-সখনও কটাক্ষ করলেও, জানবেন, মনে মনে আপনার এই স্বভাব তিনি পছন্দই করেন।

৪. ‘আবার বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে বেরিয়ে গেছে!’: স্বামী বা প্রেমিক নিজের বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছে বা ঘুরছে—এমনটা দেখলে/জানতে পারলে, মুখে মেয়েরা যতই অসন্তোষ প্রকাশ করুন না কেন, মনে মনে খুশিই হন। আসলে ছেলেরা একটু সামাজিক হোক, অন্য বন্ধুদের (অবশ্যই ছেলে বন্ধু) সঙ্গে আড্ডা মারুক, সময় কাটাক—এটা মেয়েরা ভালই বাসেন। সমাজবিচ্ছিন্ন একলা পুরুষের সঙ্গ তাঁদের নাপসন্দ।

৫. ‘সারাক্ষণ স্পোর্টস চ্যানেল খুলে বসে থাকো কেন?’: দাম্পত্য জীবনে স্বামীর প্রতি স্ত্রীয়ের চেনা অভিযোগ। আদপে কিন্তু মেয়েরা খেলাধুলো, দৌড়ঝাঁপ ব্যাপারটাকে যথেষ্ট পুরুষালি বলে মনে করেন। সেই কারণেই মেয়েদের মধ্যে নামজাদা খেলোয়াড়দের এত জনপ্রিয়তা। নিজের কর্তাটি খেলতে না পারুক, অন্তত খেলা দেখতে ভালবাসে—এই ভাবনা মনে মনে শান্তি দেয় অধিকাংশ মহিলাকেই।
৬. ‘ও তো নিজের মনের কথা বুঝতেই দেয় না’: কথাটা অভিযোগের সুরে বলা হলেও, নিজের মনের ভাব নিজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে পারাটা একজন পুরুষের মানসিক দৃঢ়তার পরিচায়ক বলেই মনে করেন মেয়েরা। তার অর্থ এই নয় যে, নিজের ভাল লাগা, খারাপ লাগা কোনও কিছুই নিজের সঙ্গিনীর সঙ্গে শেয়ার না করলে তাঁরা খুশি হবেন। তবে দুশ্চিন্তা, কিংবা শোকের আবেগ যাঁরা বেশি প্রকাশ করেন না, সেইসব পুরুষকে পছন্দই করেন মেয়েরা।

৫ মিনিটেই প্রেমে পড়বে যেকোনো সুন্দরী মেয়ে


৫ মিনিটেই প্রেমে পড়বে যেকোনো সুন্দরী মেয়ে




মানুষকে আপন করে নেওয়ার কলা কৌশল পৃথিবীর খুব কম মানুষই জানে। এটি একটি বিশেষ দক্ষতা। হয়তো দেখে থাকবেন আপনারই পরিচিত কেউ অল্প কিছুক্ষনের মধ্যে অন্য যে কোন মানুষের প্রিয় পাত্র হয়ে উঠতে পারে। মানুষের সাথে খুব সুন্দরভাবে মিশতে পারে। কথা বলতে পারে। ফলে তাদের সে সম্পর্ক টেকে অনেকদিন। অথচ দেখা যায় আপনি নতুন কোন মানুষের সাথে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন। অথবা লজ্জা পাচ্ছেন। কাজ করছে সংকোচ এবং দ্বিধা।
ভাবছেন কি দিয়ে শুরু করবেন অথবা কি বলে কথা চালিয়ে যাবেন। আজ মুক্তমঞ্চ.কম আপনাদের কাছে শেয়ার করবে কিভাবে ৫ মিনিটের মধ্যে মানুষকে আপন করে নিতে পারবেন। তবে বিস্তারিত শুরু করার আগে একটা কথা মনে রাখবেন একই সূত্র সবার জন্য সমানভাবে কাজ নাও করতে পারে। কারন পৃথিবীর কোন সম্পর্কই কোন নির্দিষ্ট সূত্র দিয়ে বেঁধে রাখা যায় না।
এটি স্থান, কাল, পাত্র অনুযায়ী পরিবর্তন হতে পারে। আর একটি জিনিস দেখবেন্ এই ধরনের মানুষেরা যারা মানুষকে আপন করে নিতে পারে তারা কখনই কোথাও আটকে থাকে না। মানুষ তাদেরকে দু হাত ভরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।

মানুষ তাদের ভালোবাসে। আপনিও যদি মানুষের ভালোবাসা পেতে চান। অথবা মানুষের মনে দীর্ঘদিন স্থান পেতে চান তাহলে মুক্তমঞ্চ.কম এর টিপস গুলো ফলো করতে পারেন। আশাকরি এই টিপস গুলো জীবনে অনেক কাজে দেবে। তো আর কালক্ষেপন না করে আমরা চলে যাচ্ছি বিস্তারিত কলা কৌশলেঃ

 মানুষকে আপন করে নেয়ার কলা কৌশল


(১) প্রথম সাক্ষাতেই কুশল বিনিময় করুনঃ

এটি একটি সাধারন ভদ্রতা। এই সারা পৃথিবীর সকল স্থান, কাল ও পাত্র অনুযায়ী একই হয়। কোন মানুষের সাথে প্রথম দেখা কিংবা পরিচিতির প্রথম ধাপই হচ্ছে কুশল বিনিময়। আর কুশল বিনিময়ের একদম শুরুতেই নিজ ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী সালাম কিংবা নমস্কার অথবা এরকম কিছু দিন। পুুরুষ হলে তার সাথে হ্যান্ড শেক করুন। আর যদি ধর্মীয় বিশ্বাসকে এভয়েড করতে চান তাহলে গুড মর্নিং বা এরকম কিছু বলুন। তবে চেষ্টা করবেন মৃদ্যু হাসি বিনিময় করে সালাম দিতে। তবে এক্ষেত্রে একটি কথা আছে। পরিবেশ বুঝতে হবে। সব পরিবেশে আবার হাসবেন না। যেমন ধরুন কোন মৃত ব্যক্তির বাড়িতে গেলেন তখন হাসি বিনিময় করে সালাম দেয়াটা আবার বোকামি। তাই আশেপাশের পরিবেশ, পরিস্থিতি খেয়াল করে কুশল বিনিময় করুন।


(২) চোখে চোখ রেখে কথা বলুনঃ

মানুষকে আপন করে নিতে এখানেই মানুষ ভুলটা বেশি করে। ধরুন আপনি কারো উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলছেন। তখন অপর পাশের ব্যক্তি মোবাইল টিপছে বা অন্যদিকে তাকিয়ে আছে, কেমন লাগবে আপনার? আশাকরি তাতে আপনি ভালো বোধ করবেন না। ঠিক তেমনি যখন কেউ আপনার সাথে কথা বলবে, আপনি তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথাগুলো শুনুন। এতে আপনি যে তার কথা মনযোগ সহকারে শুনছেন, সেটা সে পছন্দ করবে।

(৩) ঝুঁকে বসুনঃ

মানুষকে আপন করে নেয়ার এটি একটি অন্যতম কৌশল। যখন বসে অন্য কোন ব্যক্তির সাথে কথা বলবেন তখন হেলান দিবেন না। অথবা কোন দিকে কাত হয়ে বসবেন না। একদম সোজা হয়ে একটু তার দিকে ঝুঁকে বসুন। মানে মাথাটা একটু এগিয়ে দিন। তাতে ওই ব্যক্তি মনে করবে আপনি তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। ফলে সহজেই আপনাকে সে আপন ভেবে কথা বলবে।

(৪) কথার উত্তর দিনঃ

মানুষকে আপন করে নেয়ার আরেকটি কৌশল হচ্ছে কথা কম বলুন আর শুনুন বেশি। তবে রোবটের মতো কথা শুধু শুনেই যাবেন না। মাঝে মাঝে কথার মাঝখানে হ্যা, হু, ও আচ্ছা, তাই! এরকম কিছু শব্দ ব্যবহার করুন। এর মানে আপনি যে তার সাথে কথা গুলো শেয়ার করছে, সেটা মিন করে। তবে খেয়াল রাখবেন, হ্যা, হু, ও আচ্ছা, তাই! এগুলো যেন প্রতি শব্দের সাথে সাথে না বলেন। তাহলে ব্যাপারটা মেকি হয়ে যাবে। সিচ্যুয়েশন বুঝে কথার উত্তর দিবেন।


(৫) আমি, আমার এই শব্দগুলো পরিহার করুনঃ

মানুষকে আপন করে নেয়ার সবথেকে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে এটা। মানুষ মানুষকে অপছন্দ করার সবথেকে বেশি কারন হচ্ছে এটা। ধরুন আপনি কারো সাথে দেখা করতে গিয়ে খালি নিজের কথা বলেই যাচ্ছেন।

আমি এটা করেছি, ওটা করেছি, আমার এটা হয়েছে ওটা হয়েছে – এই ধরনের কথা মানুষ খুব অপছন্দ করে। যেমনঃ কারো সাথে দেখা করতে গিয়ে বললেন, ভাই আমি বিশাল বড় বেতনের একটা চাকরি পেয়েছি। আমার তাতে ভীষন খুশি লাগছে। আমার মা আমাকে দোয়া করেছে। আমার বাবা পিঠ চাপড়েছে। আমার ভাই গিফট দিয়েছে। আমার বোন এটা করেছে, ওটা করেছে। এই ধরনের কথায় মানুষ অস্বস্তিবোধ করে। প্রাকৃতিকভাবেই মানুষ মানুষের সাফল্য সহ্য করতে পারেনা। আবার ধরুন বললেন, ভাই আমি সমস্যায় আছি। আমার গরু মারা গেছে। আমার বিড়াল মারা গেছে। আমার মোবাইল চুরি হয়েছে।
আমার মানিব্যাগ হারানো গিয়েছে। এই ধরনের সমস্যাও মানুষ পছন্দ করে না। বরংঞ্চ আপনি তার কথা জানতে চান। আমি, আমার এই শব্দের পরিবর্তে আপনি আপনার শব্দ প্রয়োগ করুন। ভাই, আপনি কেমন আছেন, আপনার চাকরি কেমন চলছে, আপনার বিড়ালের খবর কি? মানুষ নিজেরটা বলতেই বেশি পছন্দ করে, আর সে কথা যদি কেউ মনযোগ সহকারে শোনে তাহলে আরো বেশি পছন্দ করে।

যে ৮টি লক্ষণ দেখে বুঝবেন প্রেমিকা আপনাকে চুমু খেতে চাইছে!


যে ৮টি লক্ষণ দেখে বুঝবেন প্রেমিকা আপনাকে চুমু খেতে চাইছে!



কোনও মেয়ের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর সময়ে আপনার যদি চুমু খেতে ইচ্ছে হয় তবে দুম করে চুমু খেয়ে বসবেন না যেন।


৮টি লক্ষণ জেনে নিন-

১) কথা বলার সময়ে মেয়েটি কি আপনার চোখ থেকে খালি খালি চোখ সরিয়ে নিচ্ছে আর আপনার ঠোঁটের দিকে চাইছে? অনেকে সেটা এমনিই করেন?
তাই নিশ্চিত হতে আপনাকে আরও অন্য জিনিসগুলোও খেয়াল করতে হবে।

২) ডেটে বেরিয়ে সেই মেয়ে যদি খুব চনমনে থাকে এবং চেষ্টা করে আরও বেশিক্ষণ একসঙ্গে থাকতে তবে বুঝবেন আগ্রহ বেশ ভালই।
৩) গল্প করার সময়ে যদি সে বার বার নরনারীর সম্পর্ক, শরীর, নীল ছবি জাতীয় প্রসঙ্গ টেনে আনে তবে গন্ধটা কিন্তু সন্দেহজনক? অর্থাৎ চুমুর ইচ্ছেটা প্রবল হতে পারে।
৪) কথা বলার সময়ে যদি সে আপনার হাত ধরে ফেলে বা আপনি তার হাত ধরলে যদি সে ছাড়িয়ে না নেয়, তবে তো পরের স্টেপ চুমু হতে পারে। যদিও একটু সাবধান। অনেকে বদমায়েশি করেও এমনটা করতে পারে। অর্থাৎ ভাবটা দেখাবে যেন এবার চুমু খাবে খাবে কিন্তু আপনি নিজে এগিয়ে চুমু খেতে গেলেই হয়তো একটা কাণ্ড বাধাবে।
৫) চুমু খাবে কি না তা সবচেয়ে ভাল বোঝা যায় বডি ল্যাঙ্গোয়েজ থেকে। মেয়েটি যদি আপনার শরীরের সঙ্গে শরীর ঠেকিয়ে বসে তবে তো বোঝা খুব সহজ।

৬) আপনার স্পর্শে মেয়েটি কেমন রিঅ্যাক্ট করছে তা লক্ষ করুন। চুমু খাওয়ার ইচ্ছে না থাকলে সে সিঁটিয়ে যাবে।
৭) মেয়েটির কাছাকাছি দাঁড়িয়ে রোমান্টিক দৃষ্টিতে তাকে বার বার দেখুন। সেও যদি আপনার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে এবং আই কন্টাক্ট বজায় রাখে তো বুঝবেন তার প্রবল ইচ্ছে রয়েছে।
৮) খুব কাছাকাছি আসার পরে মেয়েটির শরীরী ভাষায় যদি অস্বস্তি থাকে তবে তার মানে সব সময় এটা নয় যে তার কোনও ইচ্ছে নেই। মেয়েদের লজ্জার কথা জানেন নিশ্চয়ই!


৪ ধরনের পুরুষ যে কোনও মেয়ের মন জয় করতে সক্ষম!



প্রেমের ক্ষেত্রে কে সফল হবেন, আর কে ব্যর্থ হবেন, তা অনেকটাই নির্ভর করে ব্যক্তির স্বভাব-চরিত্র ও ব্যক্তিত্বের উপর। কিন্তু কোনও কোনও পুরুষ কখনওই প্রেমের খেলায় পরাজিত বা ব্যর্থ হন না— এমনটাই বলে গিয়েছেন সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের পরামর্শদাতা দার্শনিক অর্থনীতিবিদ চাণক্য বা কৌটিল্য। ‘চাণক্যনীতি’ গ্রন্থে চাণক্য জানিয়েছেন, চার ধরনের পুরুষ কোনও ভাবেই প্রেমে ব্যর্থ হবেন না। কারা তাঁরা? আসুন, জেনে নেওয়া যাক—
১. যে পুরুষ নিজের স্ত্রী বা সঙ্গিনীকে সম্মান করেন:
স্ত্রী বা প্রেমিকাকে যিনি সম্মান করেন, তাঁর কথা, বিচারবুদ্ধি এবং রুচিকে মর্যাদা দেন, নিজের মত সঙ্গিনীর উপরে চাপিয়ে দেন না, তিনি কখনও প্রেমেরর জগতে ব্যর্থ হন না।

২. যে পুরুষ পরস্ত্রীকে স্পর্শ মাত্র করেন না:
নিজের স্ত্রী বা সঙ্গিনী ব্যতীত অন্য নারী বা পরস্ত্রীকে কামনা করেন না যে পুরুষ, অথবা উপযুক্ত সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে দৈহিক ভাবে স্পর্শ করেন না যিনি, তাঁর প্রেমজীবনে সুখের রাজত্ব অটুট থাকে।
৩. যিনি নিজের সঙ্গিনীকে সুরক্ষার আশ্বাস দিতে পারেন:
যে পুরু‌ষ তাঁর স্ত্রী অথবা প্রেমিকাকে জাগতিক সুখ ও মানসিক স্বাচ্ছন্দ্যের আশ্বাস দিতে পারেন, তাঁর সঙ্গে নিজেকে সুরক্ষিত মনে করেন মেয়েরা। সেই ধরনের পুরুষের সঙ্গ ত্যাগ করতে চান না তাঁরা।
৪. যিনি নিজের সঙ্গিনীকে শারীরিক তৃপ্তি দিতে পারেন:
শারীরিক সুখ প্রেমের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। ফলে যে পুরুষ তাঁর প্রেমিকা অথবা স্ত্রীকে শারীরিক ভাবে তৃপ্ত করতে সক্ষম যে পুরুষ, তাঁর প্রতি আলাদা দুর্বলতা থাকে মেয়েদের। এই ধরনের পুরুষ কখনও ব্যর্থ হন না প্রেমের ক্ষেত্রে।